বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মরার আগে করোনার ভয়ে মরে যাচ্ছেন..?
তাহলে নিছের কথা গুলো আপনার জন্য।
আপনি কি জানেন করোনাভাইরাস ২৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উপরে ছড়ায় না। বাংলাদেশে এখন গরমকাল চলে আসছে ২৩ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, তাহলে আপনি ভয় পাচ্ছেন কেনো..?!!
আসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার জন্য আপনাকে ১০০ গুন বেশি ভয় দেখাচ্ছে।
আপনি কি জানেন করোনার মালিক আল্লাহ..!
আপনি কেমন মুসলমান আল্লাহ কে ভয় না পেয়ে সামান্য আল্লাহ সৃষ্টি করোনাভাইরাস কে ভয় পাচ্ছেন..!!!
বুকে হাতদিয়ে বলুন তো আপনি আল্লাহর হুকুম গুলো পালন করেন কিনা..? ঠিক মতো ৫ বার অযু করে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন কিনা..?
যদি আপনার উত্তর সম্পন্ন হ্যাঁ না হয়, আপনি হয়তো ১/২/৩/৪ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। তাহলে আপনাকে বলছি করোনা রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান.?
তাহলে আজ থেকে করোনার মালিকের (আল্লাহর) হুকুম গুলো ঠিক মতো ৫ বার অযু (অযুতে আপনার শরীরের ময়লা পরিস্কার হয়ে যাবে) করে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন এবং নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে পাপের জন্য ক্ষমা চান এবং রোগ থেকে মুক্তি চান। (যদি সম্ভব হয় রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চান।)
আপনি যদি আমাদের এই কথা মেনে চলেন এবং আল্লাহ উপর ১০০% ভরসা রাখেন।
বিশ্বাস করেন আপনাকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত করতে পারবেনা।
আল্লাহ আমাদের সবাই কে বুঝার এবং আমল করার তৌফিক
আরো পড়ুন
প্রচলিত ভুল:
একটি ভিত্তিহীন কথা:-এক নামের সবাইকে মাফ করে দেওয়া হবে।
আমরা কোনো নবীর নামে বা কোনো সাহাবী কিংবা উম্মাহর কোনো বড় আলেম-মনীষীর নামে নিজেদের সন্তানের নাম রাখি। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। নবীজী (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম)নিজ সন্তানের নাম রেখেছিলেন মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের নামানুসারে।
কিন্তু কিছু মানুষের মাঝে এ কথা প্রচলিত রয়েছে যে, নিজ সন্তানের নাম যদি কোনো নবী বা কোনো বুযুর্গের নামে রাখা হয় তাহলে কিয়ামতের দিন যখন ঐ নবী বা বুযুর্গের নাম ঘোষণা করা হবে তো ঐ নামের যত মানুষ আছে সকলেই দাঁড়িয়ে যাবে তখন আল্লাহ্ তা’আলা ঐ নামের ওসিলায় সকলকেই মাফ করে দিবেন।
এটি একটি কল্পনাপ্রসূত কথা, যার কোনো ভিত্তি নেই। সাথে সাথে তা শরীয়তের মেযাজেরও খেলাফ কথা। প্রতিটি ব্যক্তির ঈমান-আমল অনুসারে তার ফয়সালা হবে। নামের কারণে কাউকে মাফ করে দেওয়া হবে এমনটি ভাববার কোনো সুযোগ শরীয়তে নেই।
তবে নাম অবশ্যই ইসলামসম্মত ও সুন্দর অর্থবোধক হতে হবে। হাদীস শরীফে এসেছে, নিশ্চয় কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের পিতার নামসহ ডাকা হবে; সুতরাং তোমরা সন্তানদের সুন্দর নাম রাখো।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৪৮]
প্রসঙ্গত জেনে নিই, সুন্দর অর্থবহ যে কোনো ইসলামসম্মত নাম রাখাই বৈধ। তবে নাম রাখার ক্ষেত্রে প্রাধান্যের পর্যায়ক্রম নিম্নরূপ :
১. আব্দুল্লাহ্ ও আব্দুর রহমান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম। হাদীস শরীফে এসেছে-
أَحَبُّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللهِ عَبْدُ اللهِ وَعَبْدُ الرَّحْمنِ
আল্লাহ্ তা’আলার কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হল, আব্দুল্লাহ্ ও আব্দুর রহমান।
[জামে তিরমিযী, হাদীস ২৮৩৩]
(মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে- আমাতুল্লাহ্, আমাতুর রহমান।)
২.যে নামের মাঝে আল্লাহ তাআলার আবদিয়্যাত (দাসত্বের অর্থ) পাওয়া যায় যেমন- আব্দুল আযীয, আব্দুর রহীম, আব্দুস সালাম ইত্যাদি। (মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে-আমাতুল আযীয, আমাতুর রহীম, আমাতুস সালাম ইত্যাদি।)
৩. নবী-রাসূলগণের নামানুসারে নাম রাখা। নবীজী (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম)* এর সন্তান ইব্রাহীম জন্ম নেওয়ার পর নবীজী বললেন-
وُلِدَ لِي اللَّيْلَةَ غُلَامٌ فَسَمَّيْتُهُ بِاسْمِ أَبِي إِبْرَاهِيمَ
আজ রাতে আল্লাহ্ আমাকে একটি ছেলে সন্তান দান করেছেন। আমি পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের নামানুসারে তার নাম রেখেছি- ইব্রাহীম।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩১৫]
৪.আল্লাহর যে কোনো নেক বান্দার নামানুসারে নাম রাখা; এক্ষেত্রে নবীজীর প্রিয় সাহবীগণের নাম সবার আগে।
৫.ইসলামসম্মত সুন্দর অর্থবোধক যে কোনো নাম।
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদেরকে জীবনের সকল বিষয়ে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন।
আমীন..