মৃত্যুর বিশ্বাস অন্তরের অন্তঃস্থলে বসানো
আল্লাহতালা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।
অর্থঃ- প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এবং তোমাদের সকলকে তোমাদের কর্মের পুরোপুরি প্রতিদান কিয়ামতের দিন ই দেওয়া হবে।
অতঃপর তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হবে। জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হবে সেই প্রকৃত অর্থে সফলকাম হবে। আর জান্নাতের বিপরীতে পারথিব জীবন তো প্রতারণার উপকরণ ছাড়া কিছুই নেয়।
মৃত্যুবরণ করতে হবে পৃথিবীর চিরস্থায়ী নয়। মৃত্যু একদিন আসবেই। মৃত্যু থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই কারণ মৃত্যুর খবর শুনে আসা উচিত যে একদিন আমাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে।
এর জন্য কিছু বাস্তবতা তো আমার অন্তরেতে কি আছে যদি কাউকে বলা হয়। মৃত্যুবরণ করবে না সে বলবে না না অবশ্যই আমার মৃত্যু হবে।
অর্থাৎ সবাই জানে যে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। কিছু মৃত্যুর পর মানুষের মনে বিশ্বাস পরিলক্ষিত হয় না, সেই বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই। আল্লাহ তাআলা আমাদের অন্তরে মৃত্যুর বিশ্বাস বসিয়ে দিন।
আমীন
আরো পড়ুন
আখেরাতের ফিকির
وبشر الصابرين الذين اذا اصابتهم مصيبه قالوا انا لله وانا اليه راجعون
অর্থঃ– সুসংবাদ শোনাও তাদেরকে যারা এরূপ অবস্থায় সবরের পরিচয় দেয়। যারা তাদের কোন মুসিবত থেকে দেখা দিলে বলে ওঠে, আমরা সকলে আল্লাহর এবং আমাদেরকে তার কাছে ফিরে যেতে হবে।
মুসিবতের সময় অর্থাৎ কারো মৃত্যুর ধৈর্য ধারণ করার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা মহামূল্যবান ব্যবস্থাপনা দিয়েছেন। তা হল এই চিন্তা করা যে আমরা আল্লাহর বান্দা এবং আমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে।
কারণ মৃত্যুর খবর শুনে আমরা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, পড়ি কিন্তু আমাদের অবস্থা বুঝা যায় এই শব্দগুলো কেবল আমাদের জমে আছে। অন্তরে’র বিন্দুমাত্র উপস্থিতি নেই মূল বিষয় হলো এই কথাটা আমরা আল্লাহর বান্দা।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন তার বিপরীত কোন কাজে যেতেন এই প্রাণ আল্লাহর দান এমনিভাবে আমাদের চারপাশে অসংখ্য নিয়ামত দিয়েছেন।
তাই আমাদের উচিত আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা আর শুকরিয়া আদায় হবে আল্লাহর নাফরমানি থেকে বাঁচার মাধ্যমে।
কারণ এমন একদিন আসবে যেদিন আল্লাহ তাআলার সামনে দাঁড়াতে হবে এবং ঐদিন সব পুরানো পুরানো হিসাব নেওয়া হবে তারপর কারো জান্নাতের সিদ্ধান্ত হবে।কারো জাহান্নামের
আরো পড়ুন
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন
فريق في الجنه وفريق في السعير
অর্থঃ-একদল হবে জান্নাতি আরেক দল জাহান্নামী
কারো মৃত্যুর খবর শুনে ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়ার পাশাপাশি এটাও চিন্তা করা, যে সে তো আজ চলে গেল কাল আমাদেরও চলে যেতে হবে। যে মুহূর্তটি অতিবাহিত হচ্ছে তা আমাদেরকে মৃত্যু আরো বেশি নিকটবর্তী করে দিচ্ছে।
এখনো সুযোগ আছে আমল করার সময় আছে, এবং আছে আত্মশুদ্ধির সময় জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত, কেননা যখন এসে যাবে তখন কেউ কাউকে আটকে রাখতে পারবে না।
নিজের মৃত্যুর আল্লাহর নিকট ফিরে যাওয়ার চিন্তা ও আখেরাতের সকল গুনাহ থেকে তওবা করে, মৃত্যুর প্রস্তুতি শুরু করা এবং ওই মৃত ব্যক্তির কাফন দাফন সকল কাজ সুন্নত অনুযায়ী করা যাতে কোন প্রকার বেদআতনা হয়।
কিন্তু সমাজে বিষয়টি এর বিপরীত দেখা যাচ্ছে