বিয়ের আগে পাত্র পাত্রী দেখে নেওয়াঃ
বিয়ের প্রস্তাব করা হলে আলোচনার সমকালে ভালোভাবে পাত্র-পাত্রীর সকল দিক বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে হবে। সবকিছু বিবেচনা না করে তাড়াহুড়ার মাধ্যমে বিয়ে সম্পাদন ঠিক নয়।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেনঃ
এতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই যে এসব নারীদের বিবাহের প্রস্তাব সম্পর্কে ইঙ্গিতে কোন কথা বল অথবা নিজেদের অন্তরে তা গোপন রাখ, আল্লাহ জানেন যে শিগগীর তোমরা তাদের ব্যাপারে আলোচনা করবে কিন্তু তাদেরকে গোপনে প্রতিশ্রুতি দিও না।
হ্যা, তবে নিয়ম মাফিক আলোচনা করতে পার। আর যতক্ষণ না নির্দিষ্ট সময়ে পূর্ণ হয়ে যায় ততক্ষণ বিবাহের চুক্তির সংকল্প করো না। মনে রেখো আল্লাহ তোমাদের অন্তরে কি রয়েছে তা জানেন। তাই সতর্ক থাক এবং জেনে রাখ যে আল্লাহ ক্ষমাকারী ও ধৈর্যশীল।
[সূরা বাকারাঃ২৩৫]
বিয়ের পূর্বে কনে দেখে নেয়ার কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্টভাবে বলেছেন। মুগিরা ইবনে শোয়েব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি এক মহিলার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন।তাকে দেখে নাও,এটা তোমাদের উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করবে।
[তিরমিযিঃ১০২৫]
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেনঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলেন আমি আনসারীদের একটি মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছা করেছি।হুজুর বলেন- প্রথমে তাকে দেখে নাও।কেননা আনসারীদের কোন কোন লোকের চোখে একটি দোষ থাক।[
[মুসলিম,মেশকাতঃ২৯৬৫]
হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ কোন নারীর বিবাহের প্রস্তাব দেয় তখন যদি তাদের পক্ষে তার এমন কোন জায়েজ অঙ্গ দেখা সম্ভব হয় যা তাকে বিবাহের দিকে ডাকে তবে যেন তা দেখে।
[আবু দাউদ,মেশকাতঃ২৯৭৩]
কোরআনের আয়াত ও হাদীসসমূহ থেকে জানা গেল যে বিয়ের পূর্বে পাত্রীকে দেখে নেওয়া উত্তম। এতে করে পারিবারিক সম্পর্ক সৃষ্টি ও ভবিষ্যত ভালোবাসার সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
ইসলামের বিধান মতে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে বিয়ে করতে হবে। চুরি করে বা গোপনে বিয়ে করলে বিয়ে বৈধ হবে না। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ তোমরা বিবাহের ঘোষণা দিয়ে বিবাহের কাজ মসজিদের সম্পন্ন করবে।
বিয়ের জন্য দুজন সাক্ষী জরুরী সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হতে পারে না।