বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
যে সব কারণে রোযা না রাখা বা ভেঙ্গে ফেলা জায়েয
মাসআলা: অসুস্থ ব্যক্তি কোন নিদর্শন বা নিজের অভিজ্ঞতা অথবা এ ধরনের ভুক্তভোগী অন্য কোন ব্যক্তির অভিজ্ঞতার দ্বারা বা মুসলমান দ্বিনদার অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার প্রবল ধারণা হয় যে, যদি সে রোযা রাখে তাহলে তার প্রাণহানী, অঙ্গহানী, নতুন কোন রোগ সৃষ্টি, রোগ বৃদ্ধি, সুস্থ হতে দেরি, চক্ষু বা কোন ক্ষতস্থানে ব্যথা বা এ ধরনের কোন কঠিন সমস্যা ঘটতে পারে এ মতাবস্থায় এরূপ রুগ্ন ব্যক্তির জন্য রোযা না রাখা বা ভেঙ্গে ফেলা জায়েয। তবে পরবর্তীতে তা ক্বাযা করে নিতে হবে।( শামী-২/৪২২,উমদাতুল ফেকহ-৩/৩২৮,জাওয়াহিরুল ফেকাহ-৩/৫২০)
মাসআলা: অসুস্থ, বৃদ্ধ, মুসাফির, গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী মহিলা যাদের উপর ওজর ও অপারগতার কারণে রমযানের রোযা ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি রয়েছে এবং পরবর্তীতে আদায় করা ওয়াজিব তারা যদি ঐ ওজর অবস্থায় মারা যায় তাহলে তাদের ছুটে যাওয়া বা ভেঙ্গে ফেলা রোযা গুলো মাফ হয়ে যাবে।আর যদি ওজর দূরীভূত হওয়ার পর মৃত্যুর পূর্বে ক্বায রোযা গুলো আদায় করার মত সময় পায় কিন্তু তা আদায় না করে তাহলে তাদের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে উক্ত রোযা গুলোর ফিদিয়া আদায় করার জন্য অসিয়ত করা তাদের উপর ওয়াজিব।(শামী-২/৪২৪)
মাসআলা: দুগ্ধবতী অর্থাৎ যে মহিলা বাচ্চাকে দুধ পান করায় যদি রোযা রাখার কারণে তার বা বাচ্চার প্রচন্ড ক্ষতি হওয়ার প্রবল ধারণা থাকে তাহলে তার জন্য রোযা না রাখা বা ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি রয়েছে তবে পরবর্তীতে কযা করে নিবে।(শামী-২/৪২২)
মাসআলা: গর্ভবতী মহিলা রোযা রাখার কারণে নিজের অথবা সন্তানের প্রাণহানী বা ক্ষতি হওয়ার প্রবল ধারণা হলে রোযা ভাঙ্গা বা না রাখার অনুমতি রয়েছে তবে পরবর্তীতে কযা করে নিবে।( শামী-২/৪২২, আলমগীরী- ১/২০৭)
মাসআলা: পিল বা ঔষধ খেয়ে কোন মহিলা রমযান মাসে ঋতুস্রাব বন্ধ রেখে রোযা রাখালে তার রোযা আদায় হবে না। কযা ওয়াজিব হবে না। তবে যেহেতু ইহা আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে একটি সৃষ্টিগত নিয়ম তাই ইহাতে হস্তক্ষেপ না করাই উত্তম।(আপ কে মাসায়েল-৩/২৭৮)
আল্লাহ তাআলা আমাদের এসমস্ত কথার উপর আমল করার তৌফিক দান করুক।
আমিন